চতুর্থবারের মতো ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু। এদিন জনসেনা পার্টির (জেএনপি) প্রধান ও জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণসহ নাইডুর সঙ্গে রাজ্য মন্ত্রিসভার আরও ২৪ জন সদস্য শপথ নেন।
বুধবার (১২ জুন) সকালে বিজয়ওয়াড়ায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শপথ গ্রহণ করেন নাইডু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সভাপতি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। শপথ গ্রহণের পর নরেন্দ্র মোদি নাইডুকে আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানান।
নাইডুর পাশাপাশি এদিন শপথ নেন জেএনপি প্রধান ও জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণও। এর মধ্যদিয়ে এনডিএ নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘একমাত্র’ উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২১টি আসনে লড়াই করে সবগুলোতেই জয়ী হয়েছে এনডিএ জোটের জনসেনা পার্টি।
বুধবার শপথ নেয়া আরও ২২ জন মন্ত্রীর মধ্যে টিডিপি নেতা ও নাইডুর ছেলে নারা লোকেশও রয়েছেন।
শপথ নেয়ার আগে বুধবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৪ জন মন্ত্রীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ তালিকার তিনজন জনসেনা পার্টির, একজন বিজেপি এবং বাকিরা তেলেগু দেশম পার্টির।
আগের দিন মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে এক বৈঠকে নিজের মন্ত্রিসভা ঠিক করেন নাইডু। তার এই মন্ত্রিসভায় ১৭ জনই নতুন মুখ। বাকিরা এর আগেও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ১৩ মে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা আসনের সঙ্গে ১৭৫টি বিধানসভায় এক দফায় ভোট হয়েছিল। সেখানে জগনমোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআরসিপিকে হারাতে বিজেপি এবং জেএনপির সঙ্গে জোট করে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি।
অন্ধ্রপ্রদেশের লোকসভা নির্বাচনে চন্দ্রবাবুর দল পেয়েছে ১৬টি আসন। জোটসঙ্গী বিজেপি এবং জনসেনার দখলে যথাক্রমে তিনটি এবং দুটি করে আসন। অন্যদিকে, জগনের দল মাত্র চারটি আসনে জিতেছে। বিধানসভা নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে ওয়াইএসআরসিপির।
বিধানসভায় টিডিপি পেয়েছে ১৩৫টি আসন। বিজেপি ৮টি, জেএনপি পেয়েছে ২১টি আসন। অন্যদিকে, ওয়াইএসআরসিপি ১১টি আসন পেয়েছে। যদিও ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওয়াইএসআরসিপি একাই পেয়েছিল ১৫১টি আসন।