চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিঙ্গাপুর থেকে ৫টি প্যাকেজে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আনতে জাহাজ ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এই তেল আমদানি করতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে ছয় মাস পর পর অনুমোদন নেয়া লাগে। যেটা জুন মাসে শেষ হয়ে যাবে। আগামী জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্রুত কোটেশন পদ্ধতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে একটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সেটা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জ্বালানি তেলের প্রিমিয়ামের ওপর নেগোসিয়েশন হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য কিন্তু যখন কিনবে জাহাজীকরণের আগের দুদিন বা পরের দুদিন ও জাহাজীকরণের দুদিন যে মূল্য থাকে আন্তর্জাতিক বাজারে সেটাকে এভারেজ বা গড় করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। আর আজ যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা হলো জাহাজের ভাড়া বা পরিবহর খরচ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাস অয়েল, জেট-এ, ফার্নেস অয়েল, মোগ্যাস এবং মেরিন ফুয়েল আনবে উক্ত কোম্পানির জাহাজগুলো। এতে ছয় মাসে জাহাজভাড়া পড়বে ১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। যখন জ্বালানি তেল আনা হবে তখন আলাদাভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। আজ শুধু পাঁচটি প্যাকেজে যে তেল আমদানি করা হবে সেগুলো আনতে যে জাহাজভাড়া লাগবে সেটার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে পাঁচটি প্যাকেজে বিভক্ত করে আন্তর্জাতিক কোটেশন আহ্বান করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের ইউনিপেক, সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড ও ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১৫ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে গ্যাস অয়েল ১০ লাখ মেট্রিক টন, জেট-এ-১ ২ লাখ মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, মোগ্যাস ১ লাখ মেট্রিক টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা হবে।