ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলার জেরে বিভিন্ন দেশের মতো এবার কোকাকোলা ও পেপসি বয়টকটের ডাক দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব কোমল পানীয় বয়কটের ডাক দিয়েছেন দেশটির নেটিজেনরা।
সোমবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত ছুটি বা উৎসবের সময় কোমল পানীয়র চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের জেরে মরোক্কানদের কোকাকোলা-পেপসি থেকে দূরে থাকার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করছেন নেটিজেনরা।
প্রতিবেদন মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়কট কোকাকোলা (#BoycottCocaCola)-এর মতো হ্যাশট্যাগসহ পোস্টে বলা হচ্ছে, তাদের (মার্কিন) পণ্য ক্রয় করে গ্রাহকরা কার্যত ‘তাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ত পান করছেন।’
কেউ কেউ আবার এসব কোমল পানীয়র বদলে মরোক্কান পুদিনা চা পানের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের দাবি, কোমল পানীয়র বিকল্প হিসেবে এই চা পান করলে তা হবে স্বাস্থ্যকর, আর সেইসঙ্গে এটি স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও বেশ ভালো। অনেকে অবশ্য কোমল পানীয়র পরিবর্তে প্রাকৃতিক জুস বা মরক্কোর তৈরি পানীয় বেছে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
যদিও, কোকাকোলা ও পেপসি কোম্পানিতে কাজ করা স্থানীয় কর্মীদের ওপর এ ধরনের বয়কটের ডাকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মরক্কোর নাগরিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কোমল এই খাতে কাজ করেন। ফলে এই পানীয় বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে তাদের চাকরি হারাতে হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে কোকাকোলাকে, বিশেষ করে পশ্চিম তীরের অ্যাটারোটে একটি কারখানা পরিচালনার জন্য ‘লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের অধিকৃত এই ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি রয়েছে; যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত।
এর আগে ২০২২ সালে অ্যাক্টিভিস্টদের চাপে মার্কিন ফুড কোম্পানি জেনারেল মিলস অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অ্যাটারোট ছেড়ে চলে যায়। ফ্রেন্ডস অব আল-আকসা সংস্থা এখন কোকাকোলাকেও সেই ধরনের পদক্ষেপ অনুসরণ করার জন্য চাপ দিচ্ছে।