জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সোমবার (১০ জুন) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি। ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল রাশিয়া।
প্রস্তাব পাসের পর ইসরাইল ও হামাসকে অবিলম্বে এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত। একে নতুন সুযোগ বলেও উল্লেখ করা হয়।
নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১১ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন বাইডেন। এতে তিনি লেখেন, ‘হামাস বলছে, তারা যুদ্ধবিরতি চায়। তারা আসলেই এটা চায়, তা প্রমাণ করার সুযোগ এ প্রস্তাব।’
এদিকে জাতিসংঘে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দিদের বিনিময় এবং গাজার পুনর্গঠনকে তারা স্বাগত জানায়। কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক হামাস।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি প্রতিনিধি রুট শাপির বেন-নাফতালি বলেছেন, তারা গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন এবং হামাস উপকৃত হয় এমন কোনো অর্থহীন আলোচনায় অংশ নেবে না।
গেল ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রস্তাবের মূল কথা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি আর ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেয়া।
প্রথম ধাপে হবে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতি। দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সরিয়ে নেয়া। আর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর বাস্তুহারা হয়েছেন লাখো মানুষ।