প্রস্তাবিত বাজেট পেশের আগে সরকার নানা কথার ফুলঝুরি ফোটালেও দিনশেষে কিছুই পায়নি পুঁজিবাজার। উল্টো বিনিয়োগকারীর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে গেইন ট্যাক্স বা মূলধনী মুনাফা কর। এতে আতঙ্কিত হয়ে বাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। সূচকের পতন আর হাজার হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন হারানোর মধ্য দিয়ে দিনকে দিন তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হচ্ছে পুঁজিবাজার।
পুঁজি হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভিত পুঁজিবাজার। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘিরে সরকারের নানা আশার বাণীতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বাজেটে কোনো সুখবর পায়নি শেয়ারবাজার।
এমনিতেই টানা পতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব বিনিয়োগকারীরা। এমন অবস্থায় আরোপ করা হয়েছে গেইন ট্যাক্স বা মূলধনী মুনাফা কর। এমন সিদ্ধান্তে আতঙ্ক বেড়েছে শেয়ারবাজারে।
বিনিয়োগকারীরা জানান, টানা পতনে পুঁজি হারিয়ে লোকসানে বিনিয়োগকারীরা। বাজেটে ভালো কিছুর আশা থাকলেও, সেটি হয়নি। পতন অব্যাহত রয়েছে।
বাজারে ভালো কোম্পানি আনার স্বার্থে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানোর দেয়া প্রস্তাবে কর্ণপাত করেনি সরকার। বরং কর ব্যবধান আরও কমানো হয়েছে। যা পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে বাধা হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন,
বিনিয়োগকারীরা চাচ্ছেন মার্কেট বড় হওয়ার পাশাপাশি ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্তিতে আসুক। তবে বাজেটে ভালো কোম্পানি আনার স্বার্থে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানোর বিষয়ে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বাজেট কেন্দ্র করে নানা গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লুটে অসাধুরা। তাই বাজেটকেন্দ্রিক ভাবনা থেকে বের হয়ে বুঝে শুনে লেনদেনের পরামর্শ বিশ্লেষকদের। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল আমিন বলেন, বাজেটসহ নানা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে গুজব ছড়িয়ে পকেট ভরছে অসাধুরা। তাই শেয়ারবাজারে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে হবে।
বাজেট কেন্দ্রিক নানা গুঞ্জন আর সূচকের অব্যাহত পতনের মধ্যে গত ১০ কার্যদিবসে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে ১২ হাজার ২১৮ কোটি ১ লাখ টাকা। আর গত ২৭ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত বিও অ্যাকাউন্ট খালি করে বাজার ছেড়েছেন ১১ হাজার ৬০১ জন বিনিয়োগকারী।