ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি। স্থানীয় সময় শনিবার (৮ জুন) হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন হাজারো মানুষ। ‘রেড লাইন’ নামের এই বিক্ষোভে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। হামলা বন্ধের দাবিতে দেশটির বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর শনিবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রাজপথে নামেন হাজারো মানুষ। হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে করেন বিক্ষোভ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।
গাজার নিপীড়িত জনগণের পক্ষে এবং চলমান আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলেন তারা। অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কোডপিংক এবং কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস নামক সংস্থা এই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করে। তারা জানায় গত আট মাস ধরে গাজায় চলমান আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে তাদের এই আয়োজন।
এসময় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানান তারা। ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি বন্যার ও প্ল্যাকার্ড হাতে ইসরাইলবিরোধী স্লোগানে মুখোর হয়ে উঠে চারপাশ। এসময় তেল আবিবকে সামরিক সহায়তা বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান আন্দোলনকারীরা। গাজায় নির্বিচারে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের নীরব ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘যুদ্ধ থামাও, গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘ইসরাইলে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করো’ ইত্যাদি। এ সময় গাজায় গণহত্যা সত্ত্বেও ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নমনীয় আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা।
এদিকে রাষ্ট্রীয় সফরকালে প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজায় চলমান যুদ্ধে নেতানিয়াহু সেনাদের অভিযান চালিয়ে চার ইসরাইলি জিম্মি উদ্ধারের বিষয়টিকে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়া সব জিম্মির মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত তেল আবিবের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সুরে কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশে থাকার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ দেন তিনি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের বিরোধ নিরসনে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই নেতা।