ভিক্ষুকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তির নিরসন করা হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রী জানান, সারা দেশের ভিক্ষুকদের ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন করা হবে।
রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরে জীবন-জীবিকার জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল, এরূপ ঠিকানাবিহীন কত লোক বসবাস করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।’
‘নদী ভাঙন, অতি দারিদ্র্য, রোগ-ব্যাধি, অশিক্ষা প্রভৃতি কারণে কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছেন, যাদের প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের দরকার আছে। তবে কিছু কিছু কর্মবিমুখ লোক সহজ আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছু দুষ্টচক্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অসহায় মানুষদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন’, যোগ করেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সমাধানে সরকার ২০১০-১১ অর্থবছর হতে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটককৃত ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সারা দেশে ভিক্ষুকদের ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও পুনর্বাসন উপখাতে ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অনুদান দেয়ার পরিকল্পনা আছে।