কলকাতায় প্রদর্শিত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক ছবি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবি।
শুক্রবার (৭ জুন) কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নন্দনে এটি প্রদর্শিত হয়। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত এ ছবির প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
ছবিটি দেখতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্টজনেরা। তাদের মধ্যে রয়েছে কলকাতার শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র সরকার, সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য, সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাস গুপ্ত, দিলীপ চক্রবর্তী প্রমুখ।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায়। পরিচালনা করেছেন ভারতের প্রখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। ছবিটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও সংগ্রাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো.মহিববুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের প্রতীক এই চলচ্চিত্রটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা হয়েছিল আরো আগে। তারই ধারাবাহিকতায়, ২০১৭ সালের এপ্রিলে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে বায়োপিক তৈরির পরিকল্পনা যৌথভাবে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরকম একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বাংলাদেশের আপামর জনগণ তাঁদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
তিনি বলেন, এই চলচ্চিত্রটি একটি ঐতিহাসিক দলিল যা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, তার বেড়ে ওঠা এবং বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেয়াসহ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো তুলে ধরেছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম কোনো বায়োপিক। এর আগে বাংলাদেশে কারো বায়োপিক নির্মিত হয়নি। ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে জাতির পিতার জীবনীকেই পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে এই চলচ্চিত্রের গুরুত্ব অনেক।
মো.মহিববুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবনের একটা অংশ কলকাতায় কাটিয়েছিলেন। তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি এই শহরেই হয়েছে। চল্লিশের দশকের ব্রিটিশ বিরোধী উত্তাল রাজনীতিতে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে জড়িত এই সকল ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর চিত্রায়ণ এই চলচ্চিত্রে রয়েছে। সুতরাং, আপনারা কলকাতাবাসীরাও এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে একটা যোগসূত্র খুঁজে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক সংগ্রামের গল্প ছাড়া বাংলাদেশের গল্প বলা যায় না। তিন ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর সেই সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের দীর্ঘ ইতিহাসকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আশা করি সকলে মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি উপভোগ করবেন।