ইসরাইল-হামাস সংঘাত চলছে প্রায় আট মাস ধরে। এ যুদ্ধের শুরুতে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি হয় প্রায় ২৫০ জন ইসরাইলি। জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরাইলি সরকারের বিরুদ্ধে উত্তাল দেশটির নাগরিক। এর মধ্যেই সোমবার (৩ জুন) চারজন ইসরাইলি জিম্মি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারির বরাত দিয়ে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশটির চারজন জিম্মি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের মরদেহ এখনও হামাসের কাছে।
সোমবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে ইসরাইলি অভিযানের সময় এ চারজন জিম্মি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, ব্রিটিশ–ইসরাইলি নাদাভ পোপেলওয়েল (৫১), চেইম পেরি (৭৯), ইয়োরাম মেতজার (৮০) এবং আমিরাম কুপার (৮৫)।
এদিকে গত মাসে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, গাজা উপত্যকায় গত এপ্রিলে ইসরাইলি হামলায় নাদাভ পোপেলওয়েল নামে এক জিম্মি নিহত হয়েছেন।
পরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়, হামাসের এমন দাবি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও পরে আর ব্রিটিশ–ইসরাইলি নাদাভ পোপেলওয়েলের নিহতের খবর নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
নাদাভসহ বাকি তিনজনকে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার পাশের কিবুতজেস এলাকা থেকে জিম্মি করেছিল হামাস।
উল্লেখ্য, একইদিনে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি। এছাড়াও হামাসের হাতে প্রায় আড়াই’শ বেসামরিক জিম্মি হন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
হামাসের হামলার পাল্টা জবাবে গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচারে হামলা শুরু করে নেতানিয়াহু সরকার। এ হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক।
এর মাঝে গত নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। তখন ১০৫ জন ইসরাইলি বেসামরিক জিম্মিকে মুক্ত করেছিল হামাস। কিন্তু যুদ্ধবিরতি শেষে ফের গাজায় ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞ চালু হয়েছে।