প্রেমে বাঁধায় দেয়ায় প্রেমিককে সাথে নিয়ে নিজের বাবা ও ভাইকে হত্যা করেছে এক কিশোরী। লোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ওই কিশোরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন মতে, ১৯ বছর বয়সীর এক কিশোরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর। মেলামেশায় বাঁধা দেয়ায় নিজের বাবা ও আট বছর বয়সী এক ভাইকে হত্যা করে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায় সে।
ঘটনার কমপক্ষে দু’মাস পর গত বুধবার (২৯ মে) তাকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার থেকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিশোরীর। তবে এই সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলেন না তার বাবা। এ কারণে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সে তার বাবা ও ভাইকে হত্যা করে।
ভয়াবহ এ হত্যার ঘটনা ঘটে চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি। ১৫ই মার্চ সকালে কিশোরীর বাড়িতে পুলিশ এলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বাড়িটি বাইরে থেকে তালা দেয়া ছিল। দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ দুটি লাশ দেখতে পায়।
বাবার লাশ মেঝেতেই পড়ে ছিল। আর আট বছর বয়সী ভাইয়ের লাশ ফ্রিজে। হরিদ্বারের এসএসপি পারমেদ্রা দোভাল বলেন, ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে হরিদ্বারের ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল ওই কিশোরী। এ সময় তাকে আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়। কিন্তু ওই কিশোর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই বালিকা জানায় যে, মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে বাবা ও ভাইকে হত্যার জন্য সে ফেরারী। এ নিয়ে জাবালপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে।
গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বর মাসে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। এ ঘটনায় তখন ওই কিশোরের বিরুদ্ধে প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুদিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পায় সে।