জনশক্তি খাতে হয়রানি: ‘মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত’ শিরোনামের খবরটি গত বছরের হলেও শুক্রবারের (৩১ মে) খবর বলে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে সদ্য চালিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কয়েকটি নিউজ পোর্টালেও একই সময়ে এই খবর প্রকাশ করে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি গত বছরের হলেও শুক্রবার বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ও নিউজ পোর্টালের এমন প্রকাশিত খবরে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছে পাঠক এবং ভিউয়ারদের।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব। এমন সংবাদ পরিবেশন উচিত নয়, যাতে দেশ ও জনগণের ক্ষতি হয়। যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করলে সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে।
একই সঙ্গে মলায়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকেও এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ না করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে যেসব বিদেশি কর্মী ৩১ মে’র মধ্যে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে নিজ দেশ ত্যাগ করেছেন তাদের প্রবেশে কোনো বাধা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ। এর আওতায় শুক্রবার (৩১ মে) রাত ১২টার পর মালয়েশিয়ায় অবতরণ করা বাংলাদেশি কর্মীদেরও ঢুকতে দিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন।
জানা যায়, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হচ্ছে শনিবার (১ জুন)। দেশটির সরকারের পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ পারবেন না কোনো কর্মী। তাই মালয়েশিয়া সরকারের বেধে দেয়া শেষ সময়ে কুয়ালামলামপুরের ফ্লাইট ধরতে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে হাজির হন অনুমোদন পাওয়া অন্তত সাড়ে ৩১ হাজার কর্মী।
৩১ মে শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে অনেক কর্মীই সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করছেন। এক্ষেত্রে ইমিগ্রেশনের একটি সূত্রে জানা যায়, কোন কর্মী যদি তাদের স্ব স্ব দেশ থেকে ট্রান্সজিট অথবা সরাসরি ফ্লাইটে ৩১ মে’র ভেতরে তাদের দেশ ত্যাগ করে তাহলে মালয়েশিয়া প্রবেশে তাদের কোনো বাধা নেই।