ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় আট মাস ধরে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি নিহত এবং ৮০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ মে) গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য তিন পর্যায়ের একটি নতুন রূপরেখার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় এই রূপরেখাকে ‘ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা’ করার কথা জানিয়েছে হামাস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং এ উপত্যকার পুনর্গঠন ও বন্দী বিনিময়’ নিয়ে বাইডেনের বক্তব্যকে ইতিবাচকভাবে দেখছে তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রোড ম্যাপের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি বলেন, হামাসকে এ ধরনের প্রস্তাব আগে কখনও দেয়া হয়নি। হামাসকে এ প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষ্যমতে, ’গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার এখনই সময়।’
পাশাপাশি ইসরাইলের সব নেতাকেও প্রস্তাব গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন তিনি। বাইডেন জানান, হামাসকে পুনরায় অস্ত্রসজ্জিত হওয়ার সুযোগ না দিয়ে গাজার পুনর্গঠনের জন্য ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি নেতাদের এক হতে হবে।
জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের বরাত দিয়ে তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, বাইডেনের এ প্রস্তাবে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। তিনি মনে করেন, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে ইসরাইল-ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তির জন্য দিকে অগ্রসর হবে।
এদিকে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইসরাইলি বাহিনীর ২০ দিনের অভিযান শেষে শহরে ফিরতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তেল আবিব বাহিনীর নির্বিচার হামলায় শহরের বেশির ভাগ অংশই পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
বিশেষ করে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির জুড়ে কেবলই মিলছে ধ্বংসচিত্র। স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবন সবই যেন এখন অতীত। মাটিতে মিশে গেছে ১ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। বাসিন্দাদের কেউই চিনতে পারছে না তাদের পরিচিত এলাকা। খুঁজে পাচ্ছে না ফেলে যাওয়া নিজের বাড়ি। অনেকেই আবার খুঁজে ফিরছেন হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের।