অর্থের অভাবে বিয়ে দিতে না পারা এতিম চার মেয়েকে নিজ উদ্যোগে বিয়ে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। শুক্রবার (৩১ মে) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদে হয় এই গণবিবাহ অনুষ্ঠান।
বিয়ে উপলক্ষে বরপক্ষের লোকজন ছাড়াও এলাকার অন্তত ৫০০ মানুষকে খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়। তিটি দম্পতিকে উপহার হিসেবে ফার্নিচার সেট, হাঁড়ি পাতিল সবই দেয়া হয়েছে।
বিয়ের আয়োজন করা হয় শিলখালী ইউনিয়নের কাছারী মোড়া এলাকার রাজিয়া সোলতানার সঙ্গে পেকুয়া মেহেরনামার মোহাম্মদ হেফাজ উদ্দিন, পূর্ব ভারুয়াখালীর কানিছ ফাতেমার সঙ্গে চট্টগ্রামের মো. সোহেল, কাছারীমোড়ার তাসনিম জান্নাতের সঙ্গে চট্টগ্রামের মহানগরীর চাঁদগাঁও এলাকার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও মাঝেরঘোনার সাইমা জান্নাতের সঙ্গে পেকুয়া উপজেলার টৈটংয়ের মো. শাকিবের।
বিয়ে উপলক্ষে ইউপি চত্বরে চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল করিম, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন সোলতানা, শিলখালী ইউপি সদস্য শেখ ফরিদুল আলম, মোহাম্মদ বাহাদুর, আবুল কালাম, আব্দুস সামাদ, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
কনে কানিছ ফাতেমার মা সাকেরা বেগম বলেন, ১৬ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছেন। আমার ছেলে-মেয়ে দুজন।আর্থিক সংকটে নবম শ্রেণির আর পড়াশোনা করাতে পারিনি। মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার পরও বিয়ে দিতে পারছিলাম না। স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্যোগের ফলে আমার মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পেরেছি। নিজেকে অনেক বছর পর খুব হালকা মনে হচ্ছে।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, বাবা নেই, দুস্থ-এমন মেয়েদের বাছাই করে বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ বলেন, চারজন নবদম্পতির নবসূচনায় ইউপি চেয়ারম্যানের অবদান অনিন্দ্য সুন্দর। এটি অনুকরণীয়।
সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, এমন দৃষ্টান্ত সবস্থানে ছড়িয়ে পড়ুক। নব দম্পতিদের শুভ কামনা।