খেলার মাঠে লিওনেল মেসি আসলে কী পারেন না? -এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া আসলে খুবই কঠিন। ফুটবলকে যিনি কথা বলাতে পারেন, তার কাছে আর অসম্ভব কিছু থাকতে পারে! একটা জিনিস অবশ্য পারতেন না তিনি। মেসিকে গুলি করেও পেটের ভেতর থেকে ইংরেজি বের করা যেতো না। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর প্রায় বছর হতে চলেছে, কিন্তু কোনদিন মেসিকে ইংরেজি বলতে শোনা যায়নি।
ফুটবল পায়ে মেসি যা খুশি তাই করতে পারেন কিন্তু ইংরেজিটা তার মুখে আসে না। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে মেসি যখন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেন তখন সমর্থকদের প্রথম চিন্তা ছিল, কীভাবে মেসি সেখানে বাকিদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাবেন? মাঠের খেলায় না হয় বল তার হয়ে কথা বলবে কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে কী হবে! দুশ্চিন্তায় ঘুম পালাবার অবস্থা সবার! তবে যাকে নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা সমর্থকদের, সেই মেসি ছিলেন নির্বিকার।
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মেসি হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছেন ইংরেজি না জেনেই। ফুটবলবিমুখ আমেরিকানরা এখন সপ্তাহান্তে মাঠে ছুটছে খেলা দেখতে। হলিউডের যত দুঁদে সেলিব্রেটি, বড় বড় ক্রীড়া তারকা এখন ভীড় জমায় ইন্টার মায়ামির খেলা দেখতে। মেসি মাঠে মানেই আমেরিকায় উৎসব।
কিন্তু মেসি তো ইংরেজি বলেন না। এতদিন ধরে একটা দেশে থাকছেন, এক আধটু ইংরেজি তো বলতেই পারেন। বার্সেলোনায় থাকতে ভাষা নিয়ে ভাবতে হয়নি মেসিকে। স্পেনের মতো আর্জেন্টিনাতেও যে মানুষ স্প্যানিশে কথা বলে। কিন্তু আমেরিকায় এসে এক আধটু না বললে চলে!
অবশেষে মেসির মুখেও ইংরেজি ফুটেছে। প্রথমবারের মতো মেসিকে দেখা গেছে ইংরেজিতে কথা বলতে।
মেসিকে ইংরেজি বলতে দেখা গেছে মূলত একটা সিনেমার ট্রেইলারে। তাও খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। আপকামিং ‘ব্যাড বয়েজ: রাইড ওর ডাই’ সিনেমার ট্রেইলারে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে মেসিকে। আর সেখানেই ইংরেজি বলতে দেখা গেছে তাকে।
ট্রেইলারে দেখা যায়, মাইক লরি এবং মার্কাস বার্নেটের (উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্স অভিনীত চরিত্র) বাড়ির কলিং বেল বেজে ওঠে। মাইক লরি তথা উইল স্মিথ উঠে গিয়ে দরজা খোলেন এবং দরজার সামনে মেসিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময়ে স্মিথের পাশে এসে দাঁড়ান বার্নেট চরিত্রে অভিনয় করা লরেন্স। মেসি তখন তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ব্যাড বয়েজ?’
তার কথা শুনে তারা ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘রং হাউজ’ এবং দরজা লাগিয়ে দেন।
মেসির উচ্চারণে ইংরেজি শব্দ যদিও স্প্যানিশের মতোই লেগেছে, তবু এই দৃশ্য দেখে দর্শকরা বেশ মজা পেয়েছেন। এখন তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সিনেমাটির মুক্তির জন্য।