পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ইউক্রেনে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনীয় বাহিনীও পশ্চিমাদের দেয়া বিভিন্ন অস্ত্র রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ইউক্রেন অবশ্য এসব অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরেও হামলা চালাতে চায়। এমন অবস্থায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিগুলোকে ‘অকার্যকর’ করতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেয়া উচিত। মূলত এসব ঘাঁটি থেকেই রুশ সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে।
এছাড়া বিশ্বকে যুদ্ধে ক্লান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এরইমধ্যে উজবেকিস্তান সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘সংঘাতের এই ক্রমাগত বৃদ্ধি গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইউরোপে, বিশেষত ছোট দেশগুলোতে, তারা কী নিয়ে খেলছে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, এমন অনেক ইউরোপীয় দেশ রয়েছে যারা ‘আয়তনে ছোট’ এবং সেসব দেশের ‘ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা’ রয়েছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করার কথা বলার আগে এই বাস্তবতাটি তাদের মনে রাখা উচিত, এটি গুরুতর বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালালেও তার দায়ভার পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপরই বর্তাবে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, তিনি মনে করেন, পশ্চিমা সামরিক প্রশিক্ষকরা এরইমধ্যে ইউক্রেনে ভাড়াটে হিসেবে গোপনে কাজ করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠানোর কোনো পদক্ষেপ নিলে তা সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং ইউরোপকে গুরুতর সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেটি হবে বৈশ্বিক সংঘাতের দিকেও আরেকটি পদক্ষেপ।
ইউক্রেনের শীর্ষ কমান্ডার গত সোমবার ঘোষণা করেছেন, তার দেশে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে যারাই থাকুক না কেন আমরা যা প্রয়োজন মনে করব সেটিই করব।’