চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচটি খেলেই রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়েই ক্লাব ফুটবলকে বিদায় জানাবেন টনি ক্রুস। রিয়ালের রাজসিক সাদা জার্সি গায়ে শেষবার ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের ঐতিহাসিক মিডফিল্ড ত্রয়ীর মধ্যে ক্যাসেমিরো ক্লাব ছেড়ে গেছেন। ক্রুস অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বাকি বলতে শুধু লুকা মদ্রিচের ভবিষ্যতই অনিশ্চিত এখনও।
হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ! রিয়ালের দুই মিডফিল্ডার টনি ক্রুস ও লুকা মদ্রিচ একসঙ্গে জিতেছেন। এর আগে ২০১৪ সালে রিয়ালের ঐতিহাসিক ‘লা দেসিমা’ তথা দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়েও ছিলেন মদ্রিচ। ক্লাবটির ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার তিনি। ফুটবল মাঠের জীবন্ত কিংবদন্তি এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।
চলতি মৌসুম শেষেই ফুটবলকে বিদায় বলছেন মদ্রিচের দীর্ঘদিনের সতীর্থ টনি ক্রুস। রিয়ালের সঙ্গে লুকা মদ্রিচের চুক্তির মেয়াদও শেষ হচ্ছে চলতি মৌসুম শেষেই। সেই অর্থে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচটিও আপাতত রিয়ালের রাজসিক জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ।
তবে ক্রুসের মতো মদ্রিচ এখনোই অবসরের কথা ভাবছেন না। বয়স ৩৮ হয়ে গেলেও এখনো তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়াতে পারেন। চলতি মৌসুমে ক্লাবে বেশিরভাগ ম্যাচে বেঞ্চে থেকে শুরু করলেও যখনই মাঠে নেমেছেন ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখনো অনেককিছুই দেয়ার আছে তার।
কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদে মদ্রিচের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। ব্যক্তিগতভাবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই খেলে যেতে চান তিনি। বন্ধু ক্রুসের মতো রিয়ালের জার্সি গায়েই ফুটবলকে বিদায় জানাতে চান। এ ব্যাপারে মদ্রিচ পার্টিডাজোকোপকে বলেন, ‘আমি সবসময়ই আপনাদের বলেছি, আমি রিয়াল মাদ্রিদেই অবসর নিতে চাই। এটা আমি সত্যিই চাই। এটা আমার স্বপ্ন কারণ এটাই আমার বাড়ি।’
তিনি যোগ করেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ সবসময়ই আমার ক্লাব থাকবে। আমি টনি ক্রুসের মতো বিদায় চাই, এটা দুর্দান্ত, আবেগপূর্ণ।’
ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে নিয়ে ফেলেছেন মদ্রিচ। জানিয়েছেন তেমনটিই, ‘আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে কিন্তু আমি এখনোই সেটা আপনাদের বলতে পারি না। আপনারা ফাইনালের পরেই জানবেন।’
মদ্রিচ যে রিয়ালেই থাকতে চান তা এরই মধ্যে ক্লাবটিকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন বাকিটা উভয় পক্ষের চূড়ান্ত বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।