তাইওয়ান ঘিরে চীনের দুই দিনের সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার পর দেশটির প্রতি আবারও আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। রোববার (২৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণের শহর তাইনানে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) এক সভায় লাই তাইওয়ানের সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দায়িত্ব ভাগ করে নেয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আদান-প্রদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও পুনর্মিলন বৃদ্ধি, পারস্পরিক সুবিধা সম্প্রসারণ এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি উন্মুখ।
চীনের সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছেন লাই। সেই সঙ্গে চীনের মহড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশকে ধন্যবাদ জানান। লাই বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাইওয়ান প্রণালিতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কার্যক্রম মেনে নেবে না।
গত সোমবার (২০ মে) উইলিয়াম লাই তার বক্তব্যে তাইওয়ানকে হুমকি-ধমকি না দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন বেইজিংয়ের প্রতি। এ সময় তিনি বলেন, তাইওয়ান প্রণালির দুই পাড়ের দুই দেশ (চীন ও তাইওয়ান) কেউই কারও অধীনস্থ নয়।
লাই বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তাইওয়ানের মানুষই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তিনি বারবার বেইজিংয়ের প্রতি আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। উইলিয়াম লাইয়ের এই বক্তব্যের প্রতিশোধ হিসেবে চীন এই সামরিক মহড়া চালিয়েছে বলে জানায় বেইজিং।
চীনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের উপকূল থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরে অবস্থিত তাইওয়ান। বরাবরই স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে আসছে চীন। এটিকে নিজেদের কব্জায় নিতে উদগ্রীব শি জিনপিং প্রশাসন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার তাইওয়ান ঘিরে বড় আকারের সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। তাইওয়ানকে ভয়ভীতি দেখাতে চীন এসব মহড়া চালায় বলে মনে করা হয়ে থাকে।