বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ ইন। সালিশের সময় বিবস্ত্র করে লাঞ্ছিত করায় আত্মহত্যা করেন নারী। প্ররোচনার অভিযোগে মরদেহ নিয়ে মিছিল করেন পরিবার-এলাকাবাসী। এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা ওয়াহিদসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা। রাজধানীর নন্দীপাড়ার এ ঘটনায় জড়িতদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে বিচারের নামে শারীরিক নির্যাতনের সময় পরিবারের কাছে ফোনে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন দুই সন্তানের জননী জাকিয়া। তবে এতেও নির্যাতন থেকে বাঁচতে পারেননি তিনি।
জানা গেছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানীর পশ্চিম নন্দীপাড়া এলাকায় জাকিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিলেন খলিল। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সটকে পড়েন তিনি। যা গড়ায় বিচার-সালিশ পর্যন্ত।
ঘটনার মীমাংসা করতে বিচার ডাকেন এলাকার প্রভাবশালী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা ওয়াহিদ। পরিবারের অভিযোগ, বিবস্ত্র করে তাকে সেখানেই শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরিবারটিকে টাকাও দেন তিনি।
বিচার না পাওয়ার জাকিয়া আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে দাবি পরিবারের। তার মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে ওয়াহিদুলের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। আত্মহত্যার এই ঘটনায় ওয়াহিদুল ও খলিলের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা।
এলাকার একজন বলেন, তারা ৫০ হাজার টাকা অফার করে বলেছিল, তোরা কোনো কথা বলবি না। কিছু বললে তোদের গজারি চালান দিমু।
জাকিয়ার মা বলেন, মেয়ে মৃত্যুর আগে খলিল ও ওয়াহিদুলের নাম বলে গেছেন।
তার বাবা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় জড়িত ওয়াহিদুলসহ চারজনের নামে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেছে পরিবার।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, মেয়েটাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা নিয়েছি, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জাকিয়া আত্মহত্যা করার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক বলেও জানিয়েছে পুলিশ।