রাজস্থান রয়্যালস হয়তো কল্পনাই করেনি অখ্যাত দুই বোলার ম্যাচ থেকে ছিটকে দেবে তাদের। একপাশে শাহবাজ আহমেদ ও আর অন্য পাশে অভিষেক শর্মার ঘূর্ণিতে পর্যুদস্ত হয়েছে সানজু স্যামসানের দল। ৩৬ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শুক্রবার (২৪ মে) ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানে থেমেছে রাজস্থান। দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত একক লড়াইয়ে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ধ্রুব জুরেল। হায়দরাবাদের দুই ট্রাম্পকার্ড শাহবাজ ৩টি ও অভিষেক ২ উইকেট নিয়েছেন।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে লক্ষ্য ১৭৬ রান। পিচ স্পিন সহায়ক হলেও চলতি আইপিএলে এমন লক্ষ্যটা খুব একটা কঠিন ছিল না। হয়তো নিয়মিত বোলারদের ব্যবহার করলে রাজস্থানকে আটকাতেও পারতো না হায়দরাবাদ। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তাই নিয়েছিলেন ভিন্ন পরিকল্পনা। প্রথমে ব্যাট করার সময় তার দলের ব্যাটাররা সন্দীপ শর্মা ও আবেশ খানের স্লোয়ারে পর্যুদস্ত হয়েছিল। সে বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে দুই স্পিনার শাহবাজ আর অভিষেককে ব্যবহার করেছেন কামিন্স। পুরো আসরে এর আগে কোনো ম্যাচেই শাহবাজ ৪ ওভার বল করেননি। নিয়েছিলেন সব মিলিয়ে ২ উইকেট। অন্যদিকে মাত্র দুটি ম্যাচে ১টি করে ওভার করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু আজ দুজনেই করেছেন বাজিমাত।
ওপেনার টম কোহলার-কাডমোরকে (১০) কে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট অবশ্য এনে দেন কামিন্স। কিন্তু এরপর টানা ৫ উইকেট তুলে নেন শাহবাজ ও অভিষেক। এ জুটি অষ্টম থেকে টানা ১৭তম ওভার পর্যন্ত বল করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। মাঝে অবশ্য এক ওভার করেন এইডেন মার্করাম। তবে তিনি সফল হননি। শাহবাজ-অভিষেকের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল (৪২), স্যামসন (১০), রিয়ান পরাগ (৬), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (০) ও শিমরন হেটমায়ার (৪)। তাতে ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো রাজস্থান ৯২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।
যদিও ক্রিজ আঁকড়ে ধরেছিলেন ধ্রুব জুরেল। তবে তার একার পক্ষে ম্যাচ বের করে আনা সম্ভব হয়নি। ৩৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩ উইকেট নিতে শাহবাজের খরচ ২৩ আর ২৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন অভিষেক।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করেছিল হায়দরাবাদ। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন। ১৫ বলে ৩৭ রান করেন রাহুল ত্রিপাতি। রাজস্থানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও আবেশ খান।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে এলিমিনেটরে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠেছিল রাজস্থান। তবে তাদের ফাইনালে উঠতে দিলো না হায়দরাবাদ। এর আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগ হারিয়েছিল অরেঞ্জ আর্মিরা। ২৬ মে হায়দরাবাদ-কলকাতার শিরোপার লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামবে চলতি আইপিএলের।