বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজার অংশে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরম, নেই বাতাসও। অনেকটায় গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে কক্সবাজারে। ফলে নোনাজলে নামতে সাহস পাচ্ছেন পর্যটকরা।
শনিবার (২৫ মে) সকালে সৈকতে দেখা যায়, একের পর এক বিশাল বিশাল ঢেউ ধেয়ে আসছে উপকূলে। সৈকতে কমেছে পর্যটকের চাপ। আর যারা সৈকতে এসেছে তারাও ঢেউয়ের ভয়ে সাগরে নামছেন না। বালিয়াড়ি থেকে সাগরের ঢেউয়ের ভয়াবহতা দেখে হোটেলে ফিরছেন পর্যটকরা।
গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক সোয়েব বলেন, ‘গত ৩ দিন কক্সবাজারে অবস্থান করছি। কিন্তু শনিবার সৈকতে গিয়ে দেখছি পর্যটকের সংখ্যা যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি সাগরের নোনাজলেও নামছে না। কারণে সাগরে উত্তাল ঢেউ বিরাজ করছে।’
আরেক পর্যটক সিয়াম শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশাল বিশাল ঢেউ দেখে ভয় লাগছে। তাই সমুদ্রস্নান না করে হোটেলে ফিরে যাচ্ছি।’
আবহাওয়া পরিস্থিতি বৈরী হওয়ায় সৈকত সতর্ক অবস্থানে লাইফ গার্ডকমীরা। পর্যটকদের সতর্ক করার পাশাপাশি টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পরিস্থিতি।
সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী আদ্রাম ত্রিপুরা বলেন, ‘যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আসছে। সাগর যেমন উত্তাল, ঠিক তেমনি আবহাওয়াও গুমোট। ফলে সমুদ্রস্নানে কোনো পর্যটককে নামতে দেয়া হচ্ছে না। কারণ সাগর উত্তাল হবার পাশাপাশি স্রোতের টান রয়েছে। তাই পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে।’
এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদেরও।