ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, হত্যাকারীরা এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে এমনভাবে গুম করেছে, যেন কোনও হদিস না মেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন তথ্য জানান।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকারীরা এমনভাবে লাশ গুমের চেষ্টা করেছে যাতে কোনও হদিস না মেলে। লাশ গুমের জন্য হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করে পৃথক পৃথক ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
হাড্ডিবিহীন মাংস পরিবহনে যাতে কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয় সে জন্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা ভয়ঙ্কর এক ঘটনার জন্ম দেয় বলেও জানান হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় যাতে কেউ আটকালেও বুঝতে না পারে, সে জন্য মাংসের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে খাবার উপযোগী মাংসের মতো করে বানানো হয়।
এ সময় সাংবাদিকরা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। ভারতীয় পুলিশ গাড়ির চালককে নিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুরোপুরি না পেলেও মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি এমপি আনারকে ১৩ মে দুপুরে সাদা গাড়িতে রিসিভ করে। পরে মূল হত্যাকাণ্ড সংগঠিতকারী আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভুইয়া ও ফয়সালসহ আনার ওই বাসায় যান। পরে মোস্তাফিজ নামে আরও একজন ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। জিহাদ ও সিয়াম নামে হত্যাকণ্ডে জড়িত আরও দুই জন সেখানে ছিল। দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে এমপি আনার ওই বাসায় যান। প্রবেশের আধাঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।
হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নকারী আমানুল্লাহ ছদ্মনাম, তার নাম শিমুল ভূঁইয়া। তিনি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। বর্তমানে আমানুল্লাহ ও পরিকল্পনাকারী শাহিনের গার্লফ্রেন্ড শিলাস্তি রহমান ডিবির হাতে আটক রয়েছে। তাদের থেকেই হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা জানা গিয়েছে বলে জানান হারুন অর রশীদ।