মহাকাশে কৃত্রিম স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে রাশিয়া। তবে মার্কিন মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে সক্ষম এমন অস্ত্র পাঠিয়েছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে নতুন রুশ স্যাটেলাইটগুলোর ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে (১৬ মে) মস্কোর প্রায় ৫০০ মাইল (৮০০ কিমি) উত্তরে তার প্লেসতস্ক উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে রাশিয়া। এর মাধ্যমে কসমস ২৫৭৬ (এক ধরণের রুশ সামরিক ‘পরিদর্শক’ মহাকাশযান) সহ কমপক্ষে নয়টি স্যাটেলাইট পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে মোতায়েন করা হয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা এটাকে মহাকাশে রাশিয়ার ‘বেপরোয়া আচরণ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউএসস্পেসকমের মুখপাত্র বলেছেন আমরা কিছু কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছি এবং মূল্যায়ন করেছি এটি সম্ভবত একটি কাউন্টারস্পেস অস্ত্র যা সম্ভবত পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে থাকা অন্যান্য উপগ্রহকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন মহাকাশে চীন ও রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে শক্তিমত্তা বাড়াচ্ছে। ওয়াশিংটন মনে করে, চীন ও রাশিয়ার বিভিন্ন মহাকাশভিত্তিক অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের স্থলভাগে থাকা সামরিক বাহিনী, সম্পদ ও কক্ষপথে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তবে মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে, তার বিস্তারিত গোপন রাখছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা এটা নিশ্চিত করেছেন, তাদের এ প্রচেষ্টার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। কারণ মহাকাশ ক্রমেই যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে।
পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ কেবল সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান, দিকনির্দেশনা ঠিক করা বা চিহ্নিত করার ওপরই নির্ভরশীল থাকবে না, তারা নতুন নতুন মহাকাশভিত্তিক বিভিন্ন যন্ত্রের বিকাশ ঘটাবে। এসব যন্ত্র কৃত্রিম উপগ্রহের নেটওয়ার্ককে বিরোধীদের হামলার মুখ থেকে বাঁচাবে।