জন্মস্থান ইরানের মাশাদে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন দেশটির সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরইমধ্যে দাফনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টা পরই চিরনিন্দ্রায় শায়িত হবেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বর্ষীয়ান এই নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ঢল নামে লাখো মানুষের।
এরপর রাইসিসহ নিহতদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আজাদ স্কয়ারে। শ্রদ্ধা জানাতে দিনভর সেখানেই রাখা হয় তাদের। পরে রাইসির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) ইরানের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় রাইসির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কুওম শহরে, যেখানে ইব্রাহিম রাইসি পড়াশোনা করেছেন। কুওমে আরেকটি জানাজা শেষে রাইসি ও তার সঙ্গীদের মরদেহ তেহরানে নেয়া হয়।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাইসিকে আজ বৃহস্পতিবার ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশাদে দাফন করা হবে।
এদিকে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত হওয়া প্রেসিডেন্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির সব ধরনের বিয়ে স্থগিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা। বলা হয়, যতদিন শোক চলবে ততদিন বন্ধ থাকবে ইরানের সবগুলো কমিউনিটি সেন্টার। এছাড়া সিনেমাসহ সব ধরনের সাংস্কৃতি কার্যক্রম ও কনসার্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। স্থগিত করা হয়েছে খেলাধুলাসহ সব ধরনের প্রতিযোগিতা।
গত রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।