ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং তিন হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করাতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ধারণা, ইসরাইলি নেতাদের কোনও ধরনের হুমকি দেয়ার অনুমতি দেয়া হলে, যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে আদালতটির পরবর্তী টার্গেট।’ খবর বিবিসির।
সম্প্রতি আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান আদালতটির কাছে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে জানান, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়। এর জন্য দেশটি আইনি ব্যবস্থাও নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন বলেন, ‘হোয়াইট হাউসের নেতার অনুপস্থিতিতে, কংগ্রেস আইসিসিকে শাস্তি দেয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞাসহ সব বিকল্প পর্যালোচনা করছে। এ ধরনের সংস্থার নেতাদেরও চরম পরিণতির ভোগ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিসি ইসরাইলি নেতাদের হুমকি দেয়ার অনুমতি দেয়া হলে, যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে এর পরবর্তী টার্গেট।’
সোমবার (২০ মে) কৌঁসুলি করিম খান গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের তিন নেতা হানিয়া, সিনওয়ার ও দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। তবে ফিলিস্তিন সদস্য হওয়ায় আইসিসি জানিয়েছে, গাজা, পূর্ব জেরুজালেম ও অধিকৃত পশ্চিম তীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পৃক্ত যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে আদালতের বিচারিক এখতিয়ার আছে।