বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। পৃথিবী বিখ্যাত সাদা মার্বেল পাথরের ‘স্মৃতিসৌধ’ দেখতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমান ভারতের আগ্রা শহরে। সেই শহরেই সম্রাট শাহজাহানের তৈরি সৌধকে টেক্কা দিতে আসছে আরও একটি সাদা মার্বেল পাথরের ইমারত।
দর্শণার্থীরা এরইমধ্যে তাজমহলের সঙ্গে রাধাসোয়ামি সম্প্রদায়ের এই সমাধিস্থলের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ১৯০৪ সালে এই সমাধিস্থলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ গত ১০৪ বছর ধরে তৈরি হয়েছে সমাধিটি। এর প্রতিষ্ঠাতা সোমি শিবদয়াল সিং। আগ্রা শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে দয়ালবাগে রয়েছে সমাধিটি।
শ্বেতশুভ্র পাথরের সমাধিটি ১৯৩ ফুট উঁচু কাঠামো, ৫২টি দেওয়াল সম্বলিত এক অপরূপ সৃষ্টি। রাধাসোয়ামি আর এই মার্বেলের কাঠামোটিই এখন দর্শনার্থীদের কাছে পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। সোমি বাগ নামে পরিচিত এই ট্যুরিস্ট স্পটে প্রতিদিনই লেগে রয়েছে ভিড়। যদিও এর ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ।
রাধাসোয়ামি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা পরম পুরুষ পূরণ ধনী স্বামীজি মহারাজের নামেই এই সমাধিস্থলের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আগ্রার দয়ালবাগ এলাকার সোমিবাগ কলোনীতে অবস্থিত বিশাল সমাধিটি অবস্থিত।
শতাব্দী আগে শুরু হওয়া এই মার্বেল কাঠামোটিতে যারা সেই সময় কারিগর ছিলেন বংশপরম্পরায় তারাই এখন এই কাজ করে চলেছেন। নতুন কারিগররাও এসেছেন পাশাপাশি। ভবনটির স্থাপত্য নকশায় রয়েছে বিশেষ শৈলীও।
তবে বিশ্বজুড়েই তাজমহলের নানা প্রতিরূপ ছড়িয়ে রয়েছে। তাজমহলের প্রথম প্রতিরূপটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাহজাহান-পুত্র ঔরঙ্গজেব। নিজের বেগম রাবিয়া-উদ-দৌরানির মৃত্যুর পর তাজমহলের নকশা অবলম্বনেই একটি সমাধিসৌধ গড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদে ‘বিবি কা মাকবারা’ নামের সেই সৌধটি সম্পূর্ণ করেন সম্রাটপুত্র আজম খান।