ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদি গাজায় একটি যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা গ্রহণ না করেন তাহলে যুদ্ধ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন বেনি গান্টজ। খবর বিবিসির।
শনিবার (১৮ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে গান্টজ ‘কৌশলগত লক্ষ্য’ অর্জনের জন্য ছয় দফার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে ৮ জুন সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন।
এই ছয় দফার মধ্যে রয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি; ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণ এবং আমেরিকান, ইউরোপীয়, আরব এবং ফিলিস্তিনিদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন। যে জোট এখানকার নাগরিক বিষয়গুলির তদারকি করবে।
তিনি বলেন,
যদি আপনি ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে ইসরাইলের জনগণের কথা বড় করে দেখেন তাহলে আপনি সংগ্রামে আমাদের পাশে পাবেন। আর যদি আপনি ধর্মান্ধদের পথ বেছে নেন এবং পুরো জাতিকে অতল গহ্বরে নিয়ে যান, তাহলে আমরা সরকার ছাড়তে বাধ্য হব।
এর আগে যুদ্ধ মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক মানুষদের রক্ষা ও শাসন ব্যবস্থা নিয়ে ইসরাইলের কোনও পরিকল্পনা নেই- তা জনসমক্ষে বলার আহ্বান জানান।
গ্যালান্ট বলেছিলেন, তিনি কয়েক মাস ধরে বারবার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া পাননি।
এছাড়াও গান্টজ যে ছয়টি কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন তার মধ্যে ছিল গাজায় হামাসের হাতে এখনও বন্দী সব ইসরাইলি ও বিদেশি জিম্মির প্রত্যাবর্তন এবং ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা।
গান্টজ আরও বলেন, ইসরাইলকে ইরান ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের সঙ্গে একটি জোট গঠনের অংশ হিসাবে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
তবে নেতানিয়াহু গান্টজের ছয় দফা পরিকল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, গান্টজের দাবি পূরণ করার অর্থ হলো, যুদ্ধের সমাপ্তি টানা যা ইসরাইলের জন্য পরাজয় মেনে নেয়ার সমান। এছাড়া বেশিরভাগ জিম্মিকে পরিত্যাগ করা, হামাসকে অক্ষত রাখা এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করা বোঝাবে।