কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে বিয়ের আসর থেকেই বরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। আটক করা হয় কনেকেও। পরে পুলিশ হেফাজতেই মারা যায় যুগল। জানাজানি হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী থানায় ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দেশটির বিহারের আরারিয়া জেলার তারাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত যুবক। দেড় বছর আগে কিশোরীর বোনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর শ্যালিকাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন যুবক।
ভারতের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ না হওয়ায় ওই কিশোরীর বিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা বর এবং কনেকে বিয়ের আসর থেকে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, থানায় বর এবং কনেকে পুলিশ মারধরের পর হেফাজতে তাদের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পর একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যেখানে দেখা যায়, থানার লক-আপ বেয়ে উঠছেন এক যুবক। তারপর গলায় দড়ি দিচ্ছেন। যদিও এটি ওই থানার ভিডিও কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
দুইজনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী থানা ঘেরাও করে এবং পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে। গ্রামবাসীরা তাণ্ডব চালিয়ে থানায় ভাঙচুর করে, পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে আশপাশের গ্রাম এবং সদর দফতর থেকে বাড়তি পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মারধরের পর পুলিশের গাফিলতির কারণে হেফাজতে দম্পতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ বিষয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।