অধিবেশন চলাকালে পার্লামেন্টকক্ষে দফায় দফায় মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মে) পার্লামেন্টে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলার সময় বিরোধীদল ও সরকারদলীয় এমপিরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, একসময়ে সদস্যরা স্পিকারের আসনের আশপাশে চড়ে বসেন। কেউ কেউ টেবিলের ওপর লাফিয়ে পড়েন এবং সহকর্মীদের টেনে মেঝেতে ফেলে দেন। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলেও বিকেলে আবার মারামারি শুরু হয়।
গেল জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন লাই চিং তে। সোমবার (২০ মে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন। তবে তার দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি, ডিপিপি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং, কেএমটি ডিপিপি-র চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। তবে কেএমটির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সরকার গঠন করতে পারেনি।
এ কারণে সরকারের ওপর পার্লামেন্টের প্রভাব বাড়াতে কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধীরা। এর মধ্যে সরকারের কার্যক্রম দেখভালের জন্য আইনপ্রণেতাদের আরও ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি পার্লামেন্টে কোনো কর্মকর্তা মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে মনে হলে তাকে অপরাধী হিসাবে গণ্য করার একটি বিতর্কিত প্রস্তাবও রয়েছে।
মূলত এ প্রস্তাব নিয়েই প্রধান দুই দল ডিপিপি এবং কেএমটির মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়। যার জেরে ঘটে আইনপ্রণেতাদের তুমুল মারামারির ওই ঘটনা। ডিপিপি বলেছে, কেএমটি এবং টিপিপি রীতিমাফিক শলা-পরামর্শ না করেই প্রস্তাব দেয়ার মধ্য দিয়ে অযাচিতভাবে জোর করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে। একে ক্ষমতার অসাংবিধানিক অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছে প্রেসিডেন্ট লাইয়ের দল।