ইসরাইলের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শুক্রবার (১৭ মে) একটি ভিডিও বার্তায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এ কথা জানান।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভিডিও বার্তায় আবু ওবায়দা বলেন, আগ্রাসন যতই দীর্ঘস্থায়ী হোক না কেন ফিলিস্তিনিরা রাফা এবং গাজার অন্যান্য স্থানে আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাদের একটি জলাভূমিতে টেনে নিয়ে যাচ্ছি যেখানে তারা তাদের সৈন্যদের মৃত্যু এবং তাদের কর্মকর্তাদের বন্দী অবস্থায় ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
হামাসের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা বড় শক্তি এ জন্য আমাদের এই লড়াই না। আমরা এই জমির মানুষ এবং আসল মালিক।
হামাসের মুখপাত্র জানান, তারা ১০০টিরও বেশি ইসরাইলি সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি টানেল উড়িয়ে, রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়ে ইসরাইলি সেনাদের হতাহত করেছে।
চলতি মাসের শুরুতে রাফায় ইসরাইলি অভিযানের আগে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির আলোচনা হয়। তবে শর্ত পছন্দ না হওয়ায় ইসরাইল এ যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে আসে। এরপর হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলকে আর ছাড় দেবে না তারা।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন শানি লোক, অমিত বুসকিলা এবং ইজহাক গেলেরেন্তার। এই তিনজনকে গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামাসের অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ইসরাইল থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেয়া হয়েছিল।