প্লে-অফে জায়গা করে নেয়ার লড়াইয়ে গুজরাট টাইটান্সের জন্য ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বড় জয় তাদের টিকিয়ে রাখত লড়াইয়ে। কিন্তু মাঠে নেমে লড়াইয়ের সুযোগটাই পায়নি গুজরাট। ঘরের মাঠের ম্যাচটা যে ভেসে গেছে বেরসিক বৃষ্টিতে।
সোমবার (১৩ মে) আহমেদাবাদে আসরের ৬৩তম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় দুই দল একটি করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তাতে কলকাতার সেরা দুইয়ে থাকা নিশ্চিত হলেও বিদায় নিতে হচ্ছে গতবারের ফাইনালিস্ট গুজরাটকে।
সেরা দুইয়ে থাকা নিশ্চিত হওয়ায় কলকাতা প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতলেই ফাইনালে জায়গা করে নেবে। তবে সে ম্যাচে হারলে সুযোগ থাকবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দলের এলিমিনেটর জিতে আসা দলের সঙ্গে এই ম্যাচ খেলতে হবে তখন।
প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে গুজরাটের দরকার ছিল বড় ব্যবধানের জয়। কিন্তু ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। ফলে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে শুভমান গিলের দল। শীর্ষ চারে থাকা প্রতিটি দলের পয়েন্ট ১৪ বা তার বেশি। এমন অবস্থায় শেষ ম্যাচে গুজরাট জিতলেও তাদের ধরা সম্ভব নয়।
মৌসুমের এই অবস্থায় এসে পয়েন্ট তালিকা বেশ জটিল অবস্থায় আছে। এক বা দুই ম্যাচ হাতে আছে দলগুলোর কিন্তু টেবিলের ৩ থেকে ৭ নম্বর দলের প্রত্যেকেই আছে প্লে-অফের দৌড়ে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্সের দল শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেই মোটামুটি নিশ্চত হয়ে যাবে প্লে-অফ। তবে হারলেও থাকবে সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে সামনে আসবে রানরেটের প্রশ্ন।
১৩ ম্যাচ খেলে ফেলা চেন্নাইও টিকে আছে প্লে-অফের লড়াইয়ে। শেষ ম্যাচে জয় দরকার তাদেরও। হারলেও সুযোগ থাকবে। রানরেটে বেশ ভালো অবস্থানে আছে তারাও।
হাতে দুই ম্যাচ থাকলেও রানরেটের কারণে বিপদে লখনৌ। শেষ দুই ম্যাচে জয় তো লাগবেই, ব্যবধানটাও হওয়া চাই বড়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালসের হাতে আছে একটি করে ম্যাচ। নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যের হার চাওয়া ছাড়া উপায় নেই তাদের।