ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকার পুরো পৃথিবীজুড়ে রয়েছে তার পুত্র পুণ্য। তবে পুত্রের পর তার ঘর আলোকিত করেছে কন্যা। ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছেন নায়িকা। দুজনকে নিয়েই পরীর দিন কাটছে ভীষণ ব্যস্ততায়।
মেয়ের নাম রেখেছেন সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। ৩ মে রাতে প্রিয়মের জন্ম হয়েছে। জন্মের কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসক সরাসরি পরীমণির হাতে তুলে দেন ছোট্ট নবজাতককে।
জন্মের এক দিন পরেই সন্তানকে বাসায় নিয়ে আসেন পরী। মা দিবসে নিজের ফেসবুকে কন্যাকে সামনে এনেছেন তিনি। ভীষণ মিষ্টি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। কন্যাকে পেয়ে পরী বেশ উচ্ছ্বসিত তা তার কথাই প্রকাশ পেয়েছে।
তবে কীভাবে, কোথা থেকে কিংবা হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? এ বিষয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘সব প্রশ্নের ওপরে প্রিয়ম তার সন্তান, এটাই বড় কথা। কোনো প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন নেই এখানে। তিনি বলেন, ‘ও আমার সন্তান। কীভাবে নিলাম, কেন নিলাম, কোথা থেকে নিলাম—এসব এখানে তুচ্ছ। আমি এখন ওর মা। এটাই এখন তার বড় পরিচয়।’
তবে এটির জন্য অভিনেত্রীর আগে কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। তিনি ভাবতেও পারেননি; এমন কিছু ঘটে যাবে! হুট করেই এটি হয়েছে গেছে।
ভাগ্য নিয়ে পরীমণি বলেন, ‘আমাকে সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। ওপরওয়ালা তো মানুষের ভাগ্যে কত কিছুই লিখে রাখেন, যা আপনি খণ্ডাতে পারবেন না। ওপরওয়ালা আমার জন্য লিখে রেখেছিলেন আরেকটি সন্তানের মা হব, আমি হয়েছি। আমার এই সন্তান ওপরওয়ালার পবিত্র দান। ওপরওয়ালা তাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দচিত্তে, খুশি মনে প্রিয়মকে গ্রহণ করেছি। আমি কখনোই ভাবতে চাই না, ওকে আমি পেটে ধারণ করিনি। আমার পুণ্য ছেলেসন্তান, প্রিয়ম মেয়েসন্তান। পুণ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার ভেতরে যেমন অনুভূতি কাজ করেছে, প্রিয়মের জন্য একই অনুভূতি কাজ করেছে, করছে।’
পরীমনি বলেন, ‘দত্তক নিতে একটা আনুষ্ঠানিকতা আছে, নিয়ম আছে। সব নিয়মকানুন মেনেই আমি সন্তানকে গ্রহণ করেছি।’
মেয়ের আকিকা নিয়ে পরীমণি বলেন, ‘চলতি মাসের ২০ তারিখের পর প্রিয়মের আকিকা দেবেন তিনি। এর আগে দেয়ার চিন্তা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে তা হয়নি।’
উল্লেখ্য, ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে অভিনয় করতে গিয়ে অভিনেতা শরীফুল রাজের প্রেমে পড়েন পরী। ভালোবেসে তাকে বিয়েও করেন। সুখের সংসারে আসে একমাত্র ছেলে রাজ্য কিন্তু এখন পরী তার ছেলেকে ডাকেন পুণ্য বলে। রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে পরীর। এখন সন্তানদের নিয়েই জীবন কাটছে তার।