নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বাফুফের ক্যাম্পে থাকা ৬ নারী ফুটবলার। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ চলতে থাকায় এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছিল তাদের। পরীক্ষার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বাধভাঙ্গা উল্লাসে মাতোয়ারা সারা দেশের এসএসসি শিক্ষার্থীরা। সেই আনন্দ ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভবনও। ফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত ঐশী খাতুন, রুমা আক্তার ও ওমেলা মারমারা। ১০ বছরের কষ্টের ফল হাতে পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা তারা।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বাফুফের ক্যাম্পে থাকা ৬ নারী ফুটবলার। প্রত্যেকেই পেয়েছেন সাফল্যের দেখা। মাঠের খেলার মতো লেখাপড়ায়ও তুখোড় এই নারীরা। ঐশী ও ওমেলা পেয়েছেন এ, বাকিদের ফলাফল জিপিএ চারের নিচে। রাত জেগে পড়া স্বার্থক হয়েছে বলে জানান তারা। ক্যাম্পে থাকা বাকি ফুটবলাররা জানিয়েছেন অভিনন্দন।
ঐশী খাতুন বলেন, ‘এখানে সবাইরে জানাইছি, ক্যাম্পে যারা আছি। এগুলো বলে ইনজয় করতেছিলাম।’ রুমা আক্তার বলেন, ‘বাপ-মার সাথে কথা বলছি। আমরা রাত জেড়ে পড়ছিলাম। কষ্টটা সার্থক হইছে।’
চলতি বছর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার পরই পরীক্ষার হলে বসেন ৬ নারী ফুটবলার। সাফের সময় একসঙ্গে ফুটবল ও পড়াশুনা কীভাবে চালিয়ে গেছেন, তা জানালেন সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী ফুটবলাররা। পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে থাকতে পারেননি অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের শিরোপা উদ্যাপনের অনুষ্ঠানেও। ঐশী বলেন, ‘খেলা চলাকালেও আমরা পড়ছি। রুমে তো পড়া সম্ভব না, তাই ডাইনিংয়ে বসে পড়ছি।
খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাও যে সমাল তালে চালিয়ে যাওয়া যায়, তার প্রমাণ আরও একবার দিলেন বাফুফের বয়সভিত্তিক দলের ছয় ফুটবলার। যা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে সব খেলোয়াড়দের কাছে।