সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ছেলেকে জমি লিখে না দেয়ায় শাহনাজ খাতুন নামে ৫৭ বছরের বৃদ্ধ মাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। আহত বৃদ্ধা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তবে এ ঘটনায় ছেলে-বধূর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে চান না আহত মা।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার হায়দারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয়েছে রোববার (১২ মে)। আহত বৃদ্ধা শাহনাজ খাতুন ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি লিখে না দেয়া ও ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ওই বৃদ্ধার বড় ছেলে শাহ আলম ও তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বৃদ্ধাকে মারপিট করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই বৃদ্ধাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়েছে।
শাহ আলমের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীকে শাশুড়ি ঘর থেকে বের করে দেয়। জমিজমা ও টাকা তার ছোট ছেলে ও মেয়েকে দিয়েছে। আমার স্বামী ঋণ করে ঘর দিয়েছে। সেই ঘর থেকে এখন বের করে দিতে চায়। এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছে। শুক্রবার দুপুরে এ বিষয়গুলো নিয়ে আবারও কথা কাটাকাটি হয়। তখন আমার স্বামী তাকে ধাক্কা দেয় এবং মারপিট করে। তবে আমি শাশুড়িকে মারপিট করিনি, কিন্তু ধাক্কা দিয়েছিলাম। এতে মাথায় একটু কেটে গেছে।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরহাদুল ইসলাম হ্যাপি বলেন, ‘ঘটনাটি কেউ আমাকে বলেনি, আপনাদের মাধ্যমেই শুনলাম। আমি হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজ নেব এবং এই ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিথিলা আক্তার বলেন, ‘তার মাথায় সেলাই দেয়া হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ রয়েছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন, তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।’
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরেই হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। আমরা এখনো তার খোঁজ খবর রাখছি। তবে তিনি তার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন।’