ডিক্রি জারির মাধ্যমে কুয়েতের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ। এছাড়া সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ চার বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন তিনি।
গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিভিশন ভাষণের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন কুয়েতের আমির। কুয়েত নিউজ এজেন্সি কুনা’র বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কুয়েতের আমির তার ভাষণে বলেন, ‘আমরা ব্যাপক সমস্যা এবং বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা কঠিন সময় পার করেছি, যা আমাদের বাস্তবতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এর আগে আমরা সাংবিধানিক নীতির বিপরীত আচরণ এবং কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি। কুয়েতের জনগণ কঠিন সময় পার করছেন।’
শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ আরও বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমি এ বিষয়ে চুপ থাকতে পারি না। অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি নিরাপত্তা সংস্থায়ও দুর্নীতি ঢুকে গেছে।’
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকের মঞ্চে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে কুয়েতে নির্বাচন হয়েছে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে কুয়েতের আমির হন আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ। সৎ ভাই ও সাবেক আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর কুয়েতের নতুন আমির হন শেখ মিশাল।
বলা হচ্ছে, কুয়েতে পার্লামেন্ট ও মন্ত্রিসভার মধ্যে বিরোধ ক্রমেই বাড়ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন কুয়েতের আমির।