যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত আছে। দেশটির স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মত গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করেছেন। তবে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে তাঁবু গুঁড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্ষোভকারী অনেক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে এমআইটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষা কার্যক্রম ও স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে তারা।
এমআইটি, হার্ভার্ড ছাড়াও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের তাঁবু ভেঙে দেয় পুলিশ। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। পাশাপাশি আটকও করা হয় অনেককে।
স্থানীয় সময় শনিবার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানান বিক্ষোভকারীরা। কিছু সময় দেরি করে অনুষ্ঠান শুরু হলেও কোনো আটকের ঘটনা ঘটেনি।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির হিসাবে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরাইলকে সহায়তা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দেশটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে দক্ষিণের রাফায় স্থল অভিযানে বদ্ধ পরিকর ইসরাইলি বাহিনী। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে পূর্ব রাফা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। আল মাওয়াসি নামক এলাকায় তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।
তবে ইসরাইলের হামলার হাত থেকে গাজার কোথাও নিরাপদ নয়, রাফার লাখ লাখ বাসিন্দার দিন কাটছে তাই আতঙ্কে। ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেয়ায় খাবার ও পানির সংকটে থাকায় ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে তা অজানা।
চলমান পরিস্থিতিতে হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দিলেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে সিয়াটলে এক বক্তব্যে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও এর আগে হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হলেও সাড়া দেয়নি ইসরাইল। তারপরও বাইডেন হামাসের কোর্টই বল রাখছেন।