ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘এক জাতি, এক নেতা’ মিশন শুরু করেছেন বলে দাবি করেছেন আম আদমি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কেবল বিরোধী নেতাদেরই নয়, তাদের নিজের দলের নেতাদেরও বন্দি করবে।
জেল থেকে বের হওয়ার পর শনিবার (১১ মে) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কেজরিওয়াল। খবর এনডিটিভির।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, শিগগিরই তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করবেন।
আদভানি, মুরলি যোশী, শিবরাজ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, খাত্তার, রমন সিং-এর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ। এরপর যোগী আদিত্যনাথের পালা। তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদি) যদি জয়ী হন তাহলে দুই মাসের মধ্যে ইউপির মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করবেন।
কেজরিওয়াল বলেন, আমাদের দেশ অনেক পুরনো, যখনই কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছে, জনগণ তাকে উপড়ে ফেলেছে। আজ আবার একজন স্বৈরশাসক গণতন্ত্রকে শেষ করতে চায়। আমি ১৪০ কোটি মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছি।
তার বক্তৃতায়, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিজেপির ক্ষমতা দখলের পেছনে একজন কারিগর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এছাড়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কীভাবে ‘তাদের ডানা কাটতে’ অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করেছে তা উল্লেখ করেন।
এ সময় তিনি সতর্ক করেন, যদি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এম কে স্ট্যালিনসহ সব বিরোধী নেতাকে মোদি জেলে পাঠাবেন।
এর আগে শুক্রবার (১০ মে) সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। নির্বাচনের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশ্ন করে আদালত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ভোট শেষ হওয়ার পরে কেজরিওয়ালের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
দুর্নীতির মামলায় গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ।
সেদিন রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। কেজরিওয়ালই ভারতের প্রথম কোনো মুখ্যমন্ত্রী যিনি দায়িত্ব পালনকালে গ্রেফতার হয়েছেন।