সময়টা দারুণ কাটছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়রের। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। সামনে লস ব্ল্যাঙ্কোদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হাতছানি। ক্যারিয়ারের এমন দুর্দান্ত সময়ে ব্যালন ডি’অরের দাবি করতেই পারেন ভিনিসিউস।
স্বদেশী কিংবদন্তি রিভালদোও বলছেন, এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ে দারুণ সম্ভাবনা আছে ভিনিসিউসের। তবে এখানে ক্লাব সতীর্থ জুড বেলিংহ্যামকে তার বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন রিভালদো।
চলতি মৌসুমটা দুর্দান্ত কাটছে ভিনিসিউসের। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এরইমধ্যে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও লা লিগার শিরোপা জিতেছেন তিনি। এই দুটি শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেছিলেন ভিনি। আর লা লিগায় প্রতিটি ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড। বার্সেলোনা, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ কিংবা জিরোনার বিপক্ষের বিগ ম্যাচগুলোতে কার্লো আনচেলত্তির দুশ্চিন্তা কমিয়েছেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও চলছে ভিনির আধিপত্য। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ছাড়াও রাউন্ড অব সিক্সটিনে গোল করেছেন তিনি। ম্যানসিটির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে জোড়া অ্যাসিস্ট আর সেমিফাইনালের প্রথম লেগে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় জোড়া গোল করে বায়ার্নকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। আর জার্মান জায়ান্টকে ছিটকে দেয়ার ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ৩৬ ম্যাচ খেলে ২১ গোলের পাশাপাশি ১১ অ্যাসিস্ট করেছেন ভিনিসিউস।
এমন দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো ভিনিসিউস যে ব্যালন ডি’অর জয়ের পথেই আছেন সেটা বলছেন ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী তারকা রিভালদোও।
১৯৯৯ সালে ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদে সে (ভিনিসিউস) যা করছে, সেই বিবেচনায় নিঃসন্দেহে সে এখনকার সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ভিনিসিউসের ব্যালন ডি’অর জয়ের দারুণ সম্ভাবনা আছে। সে দারুণ খেলছে, গত মৌসুমেও সে (সেরার লড়াইয়ে থাকার) দাবিদার ছিল। সে এখন বিশ্বের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন।’
তবে ভিনিসিউসের ব্যালন ডি’অর জয় অনেকটা নির্ভর করছে রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ওপর। আগামী ১ জুন ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। সে ম্যাচ রিয়াল জিতলে অবশ্য ব্যালন ডি’অর জয়ে ভিনির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবেন জুড বেলিংহ্যামও। চলতি মৌসুমটা যে দুর্দান্ত কাটছে তারও। ভিনির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে শিরোপা উৎসবের পথে এ মৌসুমে ৩৯ ম্যাচে ২২ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট আছে তার।
রিভালদো বলেন, ‘আমি মনে করি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে ব্যালন ডি’অর জয়ের বিষয়টি। রিয়াল মাদ্রিদ জিতলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে তাদের দুজন বা তিন জন থাকতে পারে। (জুড) বেলিংহ্যাম দারুণ একজন খেলোয়াড় এবং এই ম্যাচ (ফাইনাল) তার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে লন্ডনে ঘরের মাঠে তার ভালো করার দারুণ সুযোগ থাকবে।’
ব্রাজিলের হয়ে সবশেষ ২০০৭ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন কাকা। এরপর কেটে গেছে ১৭ বছর। এবার ভিনির সামনে সুযোগ, ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ এই ট্রফিটি জিতে সেলেসাওদের আক্ষেপ ঘোচানোর।