Homeআন্তর্জাতিকভারতে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কী বার্তা দিচ্ছে

ভারতে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কী বার্তা দিচ্ছে

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মালদ্বীপ থেকে সব সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা জানালো ভারত। ঘোষণাটি এমন সময় এলো যখন ভারত সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির বৈঠক করেছেন দিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। মালদ্বীপে মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর মালে-নয়াদিল্লি সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই এসব পদক্ষেপ নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মালদ্বীপের শাসনক্ষমতায় আছেন চীনপন্থি বলে পরিচিত মোহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে নানা ইস্যুতে মালদ্বীপের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছায়। এরইমধ্যে মুইজ্জু সরকারের প্রথম কোনো মন্ত্রী হিসেবে ভারত সফর করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির। নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে করেন বৈঠক।

মুসা জমিরের এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টা হিসেবে মনে করছেন অনেকে।

ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুসা জমির বলেন, মালদ্বীপের তরফ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যেসব অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে, ভবিষ্যতে তার আর পুনরাবৃত্তি হবে না। এসময় ভারতীয় পর্যটকদের আবারো মালদ্বীপ ভ্রমণের আহ্বান জানান তিনি।

মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,আমি মনে করি, আমাদের পর্যটনমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, ভারতীয় পর্যটকদের স্বাগত জানাতে চান। আমি নিজেও ভারতীয়দের স্বাগত জানাতে চাই। যারা মালদ্বীপ ভ্রমণ করতে চান। ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক আবারও এগিয়ে যাবে। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন, গত আট মাসে মালদ্বীপ ও ভারতে আমরা নির্বাচনী চক্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফর এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন নয়াদিল্লি দেশটিতে থাকা সব সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ১০ মে ছিল সেনা সরিয়ে নেয়ার শেষ দিন। এর মধ্যেই সব সেনাদের সরিয়ে নেয়ার কথা জানায় নয়াদিল্লি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপে ৮০ জন ভারতীয় সেনা সদস্য কর্মরত ছিলেন। মালদ্বীপে থাকা দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টার ও একটি বিমান পরিচালনা করতেন তারা। তবে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর প্রথম সিদ্ধান্তই ছিল মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরাতে হবে। তার পরেই গত ২ ফেব্রুয়ারি এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়।

সর্বশেষ খবর