বয়সটা ৪২ ছুঁইছুঁই। তবে নতুন বল হাতে এখনও সেই আগের মতোই উজ্জ্বল জেমস অ্যান্ডারসন। চেহারায় বয়সের ছাপ কিছুটা পড়তে শুরু করলেও পারফরম্যান্সের হিসাবে সেটা বড় কোনো সমস্যা নয়। তবুও ক্রিকেট ছাড়ছেন অ্যান্ডারসন। কারণ কথায় আছে, নক্ষত্রেরও একদিন মৃত্যু হয়।
লম্বা ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন অ্যান্ডারসন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অঙ্গনে পা রেখেছিলেন ২১ বছরের যুবক হিসেবে। মাঝের ২০ বছর ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তারকা এই বোলার। এতোকিছুর মধ্যে বয়সটাও ছাড়িয়ে গেছে ৪০ এর ঘর। সেই বয়সের বাধার কাছেই এবার হার মানতে হচ্ছে অ্যান্ডারসনকে।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ওলট-পালট করে দিয়ে অবসর নিচ্ছেন অ্যান্ডারসন। ফরম্যাটটির দেড়শ বছরের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র পেসার হিসেবে ৭০০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এমন ক্রিকেটারের বিদায়কে নক্ষত্রের বিদায় তো বলাই যায়। ইংলিশ তারকার বিদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন মৌসুম শেষেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন অ্যান্ডারসন। তারা আরও জানিয়েছে, কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিমি। অ্যান্ডারসনের সঙ্গে আলোচনার জন্যই হুট করে নিউজিল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ডে এসেছিলেন ম্যাককালাম। তিনি অ্যান্ডারসনকে জানিয়েছেন, টেস্ট দল নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাইছে ইংল্যান্ড।
মূলত অ্যাশেজের পরবর্তী মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে ইংল্যান্ড। পরবর্তী আসরের সময় অ্যান্ডারসনের বয়স হবে ৪৩। তাই তাকে ছাড়াই পেস বিভাগ তৈরির কথা ভাবছেন কোচ ম্যাককালাম। চলতি গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোট ৬টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে আগস্টের শেষ দিকে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে একটি টেস্ট খেলবে তারা। অ্যান্ডারসনের সম্ভাব্য বিদায়ী টেস্ট ধরা হচ্ছে সেটিকে।
সর্বশেষ ভারত সফরে প্রথম পেসার হিসেবে ৭০০ টেস্ট উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন অ্যান্ডারসন। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় তিন নম্বরে আছেন তিনি। তার ওপরে আছেন শুধু লঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন।