অনুপ্রবেশকারীরা মমতার ভোট ব্যাংক, বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে থাকতে দেবে না। ভোটের জন্যই মমতা সিএএ আইনের বিরোধিতা করছেন। চতুর্থ দফার ভোটের আগে শুক্রবার (১০ মে) পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতার বিরুদ্ধে সমালোচনার তীর ছুঁড়লেন মোদি সরকারের সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ। জবাবে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে তাদের ভোট না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বর্ধমান ও নদীয়ায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারণায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমাবেশে অমিত শাহ বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা মমতার ভোট ব্যাংক, বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে থাকতে দেবে না। শুধু তাই নয়, সিএএ’র মধ্যদিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান শিখ জৈনরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন সেটাও চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট ব্যাংককে খুশি করতে এমন বিরোধী করছেন। তবে মমতার এই স্বপ্ন সফল হবে না। তাকে সব হিসাব বুঝিয়ে দেয়া হবে।
একই দিন বর্ধমানে নির্বাচনী প্রচার সভায় অমিত শাহকে পাল্টা আক্রমণ করে মমতার দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। মুসলিম দেখলে অনুপ্রবেশারী, শিখ দেখলে খালিস্তানি বলে তিরস্কার করে গেরুয়া শিবির। ওদের বাংলার মানুষ ভোট দেবেন না। এদিন বর্ধমানেও দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারণা করেন অভিষেক।
১৩ মে ভারতের চতুর্থ দফার ভোট হচ্ছে ১০ রাজ্যের ৯৬ আসনে। তবে সবার নজর মমতার বাংলায়। এ দফায় বর্ধমান, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, রাণাঘাট, বহরমপুর এবং দুর্গাপুর আট আসনে ভোট নেয়া হবে। আট আসনের মধ্যে ২০১৯ সালের শেষ নির্বাচনে তৃণমূল ৬টি এবং বিজেপি ২টি আসনে জয় পেয়েছিল।
