ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলেছে। এরই মধ্যে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে বিস্ফারক মন্তব্য করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর এমন মন্তব্য করলো দেশটি।
তথ্যটি দিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ মে) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক আরটি নিউজ জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ভারতের জাতীয় মানসিকতা এবং ইতিহাস সম্পর্কে বোঝার ক্ষমতা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। আর তারা দেশটির ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছে।
জাখারোভা এটাকে দেশ ও রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ভারসাম্যহীন এবং সাধারণ নির্বাচনকে জটিল করে তোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগ করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ওয়াশিংটনের পদক্ষেপগুলো স্পষ্টতই দিল্লির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার শামিল।
ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)-এর সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতের সমালোচনা করার পর রাশিয়া এমন মন্তব্য করেছে। এছাড়াও এ কমিশন ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাছে সুপারিশ করেছে।
কমিশন এ প্রতিবেদনে ‘বৈষম্যমূলক’ জাতীয়তাবাদী নীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন, বিদেশি অবদান নিয়ন্ত্রণ আইন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং ধর্মান্তর বিরোধী ও গো-হত্যা আইনের অব্যাহত প্রয়োগের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছ।
এতে বলা হয়, এসব আইন প্রয়োগের ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং তাদের পক্ষে ওকালতিকারীদের নির্বিচারে আটক ও তাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।