পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত গ্রেনেড পাওয়া গেছে। গ্রেনেডটি বল ভেবে খেলছিল শিশু স্বর্ণা (৮)। পরে তার স্বজনরা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ওই গ্রেনেডটি মাটিচাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী পৌর শহরের এম এস কলোনি তিনতলা এলাকায় খনন কাজ চলার সময় একটি পুকুর থেকে ওই পরিত্যক্ত গ্রেনেডটির সন্ধান মেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন ধরে এম এস কলোনির মাঠে পুকুর খননের কাজ করছিলেন। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বুধবার বিকেলে চলে যান।
এ সময় স্বর্ণা নামে এক শিশুকন্যা বাড়ির পেছনে গিয়ে ওপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত বস্তুটি বল ভেবে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাবা সুবাস কুমার দাস গোলাকার বস্তুটি গ্রেনেড, সেটি বুঝতে পারেন। তখন বিপদের আশঙ্কায় গোলাকার বস্তুটি আগের স্থানে রেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি জানতে পারি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাকবাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যেকোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটিচাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে এসেছে।
ওসি আরও জানান, বর্তমানে গ্রেনেডটি মাটা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সবুজ আলীর তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। গ্রেনেটটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য র্যাবের বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করবে।