কথায় আছে না, হারের আগে হার নয়! সেটাই যেন প্রমাণ করল রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত তারা পিছিয়ে ছিল ১-০ গোলে। ৩ মিনিটের ঝড়ে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচটা শেষ করল তারা।
বুধবার (৮ মে) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধানটা ৪-৩। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তারা ড্র করেছিল ২-২ গোলে।
মাদ্রিদের সাদা রঙে ছেয়ে যাওয়া মাঠে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখায় স্বাগকিতরা। পুরো ৪৫ মিনিটই বায়ার্ন মিউনিখের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা। গোলটাই যা পাওয়া হয়নি এ সময়। কার্লো আনচেলত্তি আফসোস করতেই পারেন।
১৩ মিনিটে সবচেয়ে বড় পরক্ষীর মুখে পড়েন ম্যানুয়েল নয়্যার। দানি কারভাহালের পাস থেকে ভিনিসিউস জুনিয়র বল পাঠিয়ে দেন দূরের পোস্ট দিয়ে। বারে লেগে বল চলে আসে রণাঙ্গনে। পাল্টা শট নেন রদ্রিগো, পড়ে গেলেও সেটা ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। কে বলবে তার বয়সটা ৩৮ পেরিয়ে ৩৯-এ।
২৮ মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন হ্যারি কেন। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে নেয়া তার শট ঝাপিয়ে পড়ে ফেরান আন্দ্রে লুনিন। বল অবশ্য যাচ্ছিল বাইরে দিয়েই। বিরতির আগে আরও একবার বায়ার্নের ত্রাণকর্তা হয়ে ধরা দেন নয়্যার।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে বায়ার্ন। এ সময় সমানে সমানে লড়তে থাকে তারা। ফল পেয়ে যায় ম্যাচের ৬৮ মিনিটে। দূর থেকে উড়ে আসা বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টনি রুডিগারকে কাটিয়ে দূরের পোস্ট বরাবর শট নেন আলফনসো ডেভিস। ঝাপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি লুনিন। সফরকারী দলের খেলোয়াড়রা তখন উল্লাসে মাতোয়ারা।
৭৩ মিনিটে গোল করে বসে রিয়াল মাদ্রিদ! কার্নারের পর ফেদে ভালভার্দের নেয়া বুলেটগতির শট বায়ার্নের কয়েকজনের গায়ে লেগে প্রবেশ করে জালে। কাল হয়ে দাঁড়ায় নাচো ফার্নান্দেজের ফাউল। ভালভার্দে শট নেয়ার সময় জশুয়া কিমিখকে মুখে ধরে ফেলে দেন রিয়াল দলপতি। ভার রিভিউ দেখে গোল বাতিল করে দেন রেফারি।
এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে বাড়তে থাকে ম্যাচের বয়স। বাকি তখন আর ২ মিনিট। ভিনির নেয়া শট ধরে ফেলেন নয়্যার, পরক্ষণে বল ছুটে যায় তার হাত থেকে। কাছেই থাকা জোসেলু কোনো ভুল করেননি, রিয়াল ফেরে সমতায়। ৩ মিনিট পর আবারও একই জায়গা থেকে গোল করেন জোসেলু। কিন্তু বাধ সাধে তার অবস্থান। পরে ভার রিভিউ দেখে রেফারি নিশ্চিত হন, অফসাইড হয়নি, সেটি গোলই। বাকি সময়টা রিয়াল কাটিয়েছে শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায় থেকে।