ইউরোপের সঙ্গে চলমান শীতল সম্পর্কের মধ্যেই ফ্রান্স সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার (৬ মে) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ইউরোপের সঙ্গে চীনের হিমশীতল সম্পর্ক চলছে। এরমধ্যেই ৫ বছর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশ সফরে গেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রোববার (৫ মে) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ওরলি বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান ফরাসি প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল।
পরে সেখান থেকে চীনা প্রেসিডেন্ট যান ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রসাদে। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সফরে শি জিনপিং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। তাদের আলোচনায় দুই দেশের বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধ প্রাধান্য পায়। যুদ্ধ বন্ধে চীনের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন ইইউ প্রধান। পাশাপাশি ইউরোপের সঙ্গে আরও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য নিশ্চিত করার বিষয়ে চীনা প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
মূলত ইউরোপ সফরে শি জিনপিংয়ের লক্ষ্য তিনটি। এগুলো হলো- ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ নেয়ায় ইউরোপের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্পর্ক উন্নয়ন। চীনের বিরুদ্ধে ইইউর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এজেন্ডাকে অকার্যকর করা এবং সার্বিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে বেইজিংয়ের দৃঢ় সম্পর্ক প্রদর্শন।
ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর উপলক্ষে শি’র এই সফর। ফ্রান্সের পর সার্বিয়া ও হাঙ্গেরি যাওয়ার কথা রয়েছে চীনা প্রেসিডেন্টের।