গাজা যুদ্ধের জের ধরে ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখার তুরস্কের সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছে তেল আবিব। আঙ্কারার ঘোষণার তিনদিন পর এমনই আভাস দিয়েছে ইসরাইলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে গেল বৃহস্পতিবার (২ মে) তেল আবিবের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দেয় তুরস্ক। বলা হয়, যতদিন পর্যন্ত গাজায় বর্বরতা চালাবে ইসরাইল ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। গাজায় যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তুরস্কের এই সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়তে যাচ্ছে তেল আবিব। এরইমধ্যে আঙ্কারার বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইসরাইলে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ক্যালকালিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের এই বাণিজ্য বয়কটের প্রভাব আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভুগতে শুরু করবে ইসরাইল। খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যাবে। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে ইসরাইলি নির্মাণ শিল্পের ওপর। সঙ্গে অটোমোবাইল খাতেও দেখা দেবে সংকট।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শিল্প কারখানার পণ্য, প্রসাধনী এবং নিত্যপণ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের জন্য অনেকটাই তুরস্কের ওপর নির্ভর করতে হয়। বিকল্প বাজার থাকলেও হঠাৎ করেই বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়ায় পণ্য সংকটে পড়বে ইসরাইল। এতে হুমকির মুখে পড়বে অর্থনীতি।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশে দেশে চলছে ইসরাইলি পণ্য বয়কট। যুদ্ধের ব্যয় মেটানোসহ নানা কারণেই অর্থনৈতিকভাবে নাজুক অবস্থা দেশটির। এরমধ্যে তুরস্কের আকস্মিক সিদ্ধান্তে দিশেহারা নেতানিয়াহু প্রশাসন।
ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম বলছে, তুরস্ক বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পর বেশ অবাক হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। কারণ তারা ভেবেছিল তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিলেও এটি কখনও কার্যকর করবে না। কিন্তু তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত ভাবিয়ে তুলেছে তেল আবিবকে। তুরস্কের বিকল্প বের করতে লম্বা সময় প্রয়োজন হবে।