ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে তীব্র সেনা সংকট দেখা দিয়েছে। বারবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও কেউ যোগ দিচ্ছে না বাহিনীতে। ফলে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকার নাগরিকদের ‘জোর করে’ সেনাবাহিনীতে যুক্ত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, সেনা সংকটের কারণে ইউক্রেন সরকার এবার বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদেরও সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য বাধ্য করছে। এইচআইভি, ক্যানসার কিংবা যক্ষা রোগীদেরও ছাড় দেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এমনকি নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত ব্যক্তিদেরও সেনাবাহিনীতে কাজ করতে বাধ্য করছে ইউক্রেন।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে পশ্চিমারা সব ধরনের সহায়তা করলেও রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে ইউক্রেন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার গতিও কিছুটা কমে এসেছে। আর অন্যদিকে দেশটিতে যুদ্ধ চলায় অনেক সেনাই মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান। খবর বিবিসি’র।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, এমন অবস্থায় এইচআইভি, যক্ষা কিংবা ক্যানসার আক্রান্ত রোগী এবং নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীতে কাজ করতে বাধ্য করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অবশ্য কারও অবস্থা যদি গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে তাকে যোগদানের জন্য জোর দেয়া নাও হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি মোটামুটি সুস্থ থাকেন, তবে তাকে বল প্রয়োগ করে হলেও সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ায় বাধ্য করা হবে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে তাদের সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করার অধিকারও বিবেচনা করা হবে।
সিজোফ্রেনিয়া কিংবা পিটিএসডির মতো মানসিক রোগীদের ক্ষেত্রেও দেয়া হবে না ছাড়। যদি অবস্থা গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে তাদেরকে বেসামরিক কোনো পদে দ্বায়িত্ব দেয়া হবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, আগে যারা আংশিকভাবে যোগ্য থাকার পরেও বিভিন্ন কারণে সেনাবাহিনীতে চাকরি পেতো না; নতুন নিয়ামানুসারে, তারা পুনরায় সুযোগ পাবেন সেনাবাহিনীতে পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করার।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী লক্ষাধিক সেনা তালিকাভুক্ত করতে চায়। এ বিষয়ে তারা বলছে, শুরু থেকে যারা যুদ্ধ করছে সেই ক্লান্ত সেনাদের কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম দরকার।