নাইজারের একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা। তবে দুই বাহিনীর মধ্যে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আফ্রিকার দেশ নাইজারে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। দেশটির সামরিক শাসক সম্প্রতি দেশ থেকে মার্কিন সেনা বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে ওয়াশিংটনকেও সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা বলেছে। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই দেশটির একটি বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নাইজারের রাজধানী নিয়ামে ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে আগাদেজ এলাকায় অবস্থিত এয়ারবেস ১০১-এ রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে ওই ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে। তবে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মেলা-মেশা করছেন না তারা।
ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভকে ব্যাপক সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন তলানিতে। এমন পরিস্থিতিতে আফ্রিকার একটি দেশে দুই দেশের সেনাবাহিনী কার্যত একে অপরের মুখোমুখি চলে এসেছে। এ বিষয়ে মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেছেন, পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। তবে স্বল্পমেয়াদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
গত বছর (২০২৩) নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। যার মাধ্যমে পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।
এরপর পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়। দেশ থেকে পশ্চিমা সেনা সদস্যদের বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নেয় সামরিক সরকার। এরপর নাইজার থেকে এরই মধ্যে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে ফ্রান্স।
এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে ওয়াশিংটনকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় সরকার। সেনা অভ্যুত্থানের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা ও আইএস প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার ছিল নাইজার। এজন্য দেশটিতে সহস্রাধিক সেনা মোতায়েন করা হয়।