মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে কলকাতাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। এই সাফল্যের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর এবং ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গগুলিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
চলতি মৌসুমে ব্যাটিংটা একদমই ভালো হচ্ছিল না ভেঙ্কটেশের। আসরের প্রথম ৯ ম্যাচে কেবল ১৫৪ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। তবে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। ৫২ বলে ৭০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে একাই শেষ পর্যন্ত টেনে নেন ভেঙ্কটেশ। ম্যাচের পর এই সাফল্যের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি জানান, সৌরভের দেয়া মন্ত্রে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
মুম্বাই ম্যাচের আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা। সেই ম্যাচের পর দিল্লির মেন্টর সৌরভের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ। এসময় ব্যাটিংয়ের বিষয়ে ভেঙ্কটেশকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। সেই পরামর্শই মুম্বাই ম্যাচে কাজে লাগিয়েছেন ভেঙ্কি।
মুম্বাই ম্যাচের পর ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘আমি দাদার (সৌরভ) খুব বড় ভক্ত। দাদাকে সামনে পেয়ে ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে পরামর্শ চেয়েছিলাম। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট করার সময় সেগুলো মাথায় রেখেছিলাম। তাতেই সাফল্য এল।’
দলের বিপর্যয়ের সময় মনীশ পাণ্ডের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন ভেঙ্কটেশ। দীর্ঘদিন পর ব্যাট করতে নামা মনীশের সঙ্গে গড়া এই জুটি নিয়ে ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘এই নিয়ে চার বা পাঁচ বার প্যাড পড়েছিল মনীশ পাণ্ডে। শেষ পর্যন্ত আজ নামতে পারল। ওকে বলেছিলাম, তাড়াহুড়ো না করতে। প্রথমে সময় নিয়ে পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। কারণ বল একটু থমকে ব্যাটে আসছিল। দুরকম গতি ছিল পিচে। মনীশও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব ভাল ক্রিকেট খেলার।’