ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। বুধবার (১ মে) গাজার ধ্বংসস্তূপের এ পরিমাণ উল্লেখ করেছে ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস)। খবর এএফপির।
ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইউএনএমএএস প্রোগ্রামের প্রধান মুঙ্গো বার্চ বলেন, গাজায় ইউক্রেনের চেয়ে বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গেলে, ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন ৬শ মাইল আর গাজার মাত্র ২৫ মাইল।
বার্চ আরও বলেন, গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা ব্যয়বহুল ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৩৭০ লাখ টন বা প্রতি বর্গমিটারে ৩শ কেজি ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে ধ্বংসস্তূপের পরিমাণই একমাত্র সমস্যা নয়। এ ধ্বংসস্তূপে সম্ভবত ইউএক্সওর (অবিস্ফোরিত অস্ত্র) দূষিত উপাদান রয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করা জটিল হবে। কারণ, অস্ত্রের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিস্ফোরিত হয় না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য এটি বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বার্চ আরও বলেন, শুধুমাত্র গাজার ধ্বংসস্তূপেই আট লাখ টন অ্যাসবেস্টস রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ক্যান্সার সৃষ্টিকারী খনিজগুলো অপসারণের সময় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
তিনি আশা করেন, ইউএনএমএএস সব ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে সৃষ্ট হুমকি এড়িয়ে কাজ করতে পারবে।
সংস্থাটি এখন পর্যন্ত পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছে। তবে আগামী এক বছর গাজায় কাজ করার জন্য তাদের আরও ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
এর আগে, ইউএনএমএএস সিনিয়র কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার জানান, যুদ্ধের কারণে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।