লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অবিশ্বাস্য ফর্মের কারণে অনেক খেলোয়াড়ই তাদের সেরা সময়েও দুই মহাতারকার আলোর ঝলকানিতে ম্লান হয়ে গেছেন। জাভি-ইনিয়েস্তা জুটি, লুইস সুয়ারেজ, ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি, ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের মতো তারকাদের কপালে জোটেনি ব্যালন ডি’অর। তবে রবার্ট লেভানদোভস্কির বিষয়টা আলাদা। মেসি-রোনালদোকে পেছনে ফেললেও শেষ পর্যন্ত করোনা মহামারির কারণে কাঙ্ক্ষিত ব্যালন ডি’অর ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার।
২০২০ ও ২০২১ সালে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। এর মধ্যে ২০১৯-২০ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখকে জিতিয়েছেন ঐতিহাসিক ট্রেবল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সেবার করেছিলেন ৫৫ গোল। কিন্তু এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও তার কপালে জুটেনি ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি ব্যালন ডি’অর। বৈশ্বিক করোনা মহামারির অজুহাতে সেবারের ব্যালন ডি’অর বাতিল করে দেয় ফ্রান্স ফুটবল। পরের মৌসুমেও লেভা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও সেবার পুরস্কার ওঠে লিওনেল মেসির হাতে। জানিয়ে সে সময় বেশ বিতর্কও হয়েছিল।
পারফরম্যান্সে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েও স্বীকৃতি না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন লেভানদোভস্কি। স্পোর্ট বিল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর নিজের বলে দাবি করে এই পোলিশ তারকা বলেন, ‘অবশ্যই কোনো এক পর্যায়ে আমি ব্যালন ডি’অর জিততে পারতাম। তবে ব্যাপারটা এমন না যে এই ট্রফিটি এখনো না জেতায় আমি ক্ষুব্ধ বা হতাশ। তবে ২০২০ কিংবা ২০২১ সালে পুরস্কারটি আমার হতে পারত। এ দুই বছর ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর।’
২০২১ সালের পুরস্কার নিয়ে মেসি-লেভা বিতর্কে তখন অনেক জল ঘোলা হয়েছিল। তবে ২০২১ সালের পুরস্কার মেসির প্রাপ্য বলে মেনে নিয়েছেন লেভা। সেই সঙ্গে ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর এখন দিলেও নিতে আপত্তি নেই তার বলে জানিয়েছেন এই পোলিশ তারকা, ‘২০২১ সালে পুরস্কারটা মেসির ছিল। আমি লক্ষ করেছি যে ২০২০ সালের পুরস্কার পরে দেওয়া নিয়ে গুজব আছে। সেই বছরটি আমার জন্য অসাধারণ ছিল। আমি আমার সেরা অবস্থানে ছিলাম। আমরা সেবার সবকিছু জিতেছিলাম। যদি চার বছর পর আমাকে ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয় আমি কিছু মনে করব না। সেটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের হবে।’
মেসিও মনে করেন ২০২০ সালের পুরস্কারটা লেভানদোভস্কির পাওনা ছিল। এ ব্যাপারে আর্জেন্টাইন মহাতারকা বলেছিলেন, ‘রবার্ট, এটা বিশ্বাস করি যে গতবারের (২০২০ সাল) ব্যালন ডি’অর বিজয়ী তুমিই ছিলে। আমার মনে হয়, ফ্রান্স ফুটবলের উচিত তোমাকে ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অরটি দিয়ে দেওয়া। এটা তোমার প্রাপ্য।’